ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

অস্ত্র ও ইয়াবা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল্লাহর গাড়ি চালকসহ আটক ৪

কক্সবাজার প্রতিনিধি  :
কক্সবাজারে অস্ত্র ও ইয়াবা ন ‍ৃয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জিএম রহিমুল্লাহ’র গাড়ি চালকসহ ৪ জন। এর মধ্যে একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীও রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪ টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের অভ্যন্তরে একটি পরিত্যক্ত ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ একটি দেশে তৈরী একনলা লম্বা বন্দুক, চার রাউন্ড কার্তুজ ও সাতশ’ টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এইসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাঈন উদ্দীন।
অভিযানে আটকরা হলেন, সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের উপজেলা পাড়া গ্রামের বাচা মিয়ার ছেলে, উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক মো: নেছার উদ্দীন (২৬), একই ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককুল গ্রামের সামশুল হুদার ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমান উল্লাহ (২৬), একই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মনছুর আলম (২৮) ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার খিলমেহের গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে মো: মামুন (৩৮)। মো: মামুন বর্তমানে জেলা শহরে থাকেন এবং একজন ঠিকাদারের অধিনে খরুলিয়ার সরকারি শিশু পরিবারে খাবার সরবরাহ করেন বলে পরিদর্শক (অপারেশন) মাঈন উদ্দীন জানান। তিনি জানান, আটক আমান উল্লাহ একজন ইয়াবার ভেন্ডার। সে ইতোপূর্বে দুইটি অস্ত্র নিয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছিল। থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ভোররাতের পুলিশ অভিযান চালালে আমান উল্লাহ লম্বা বন্দুক দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে উদ্ধ্যত হয়। গুলি লোড করার সময় তাৎক্ষনিক তৎপরতায় তাকে ধরা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই পরিত্যক্ত ভবনে অভিযান চালিয়ে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আমান উলাহকে ৪ সহযোগীসহ আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে মো: নেছার উদ্দীন সদর উপজেলা চেয়ারমানের গাড়ির চালক। তিনি মাষ্টাররোলে চাকরি করেন। অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হবে।’

পাঠকের মতামত: